বিপুল কর্মকাণ্ডের মধ্যে ৪২টি বসন্ত পার করলেন করণজিৎ কউর ওরফে সানি লিওনি। ১৩ মে তাঁর জন্মদিনে দেশ-বিদেশ থেকে ভেসে এল রাশি রাশি শুভেচ্ছাবার্তা। ব্যবসায়িক কাজে নানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন সানি। রাখতে হয় শিল্পপতিদের আমন্ত্রণও। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রেড কার্পেট হাঁটতে দেখা গেল তারকাকে।
খোলা চুল, কাঁধখোলা রুপোলি গাউনে ঝলমল করছিলেন সানি। ভিতরে প্রবেশ করলেন কথা বলতে বলতেই। অন্যমনস্ক ছিলেন। হাতে পোশাকের সঙ্গে মানানসই ক্লাচব্যাগটা খুলেছিলেন যেন কী প্রয়োজনে। তাতেই বিপত্তি। টপাটপ ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড ঝরে পড়তে লাগল সানির ব্যাগ থেকে। তড়িঘড়ি পিছন থেকে এক দ্বাররক্ষী এসে কার্ডগুলি কুড়িয়ে দিলেন সানির হাতে। সেগুলি ব্যাগে পুরে আবার এগিয়ে চললেন সানি। সেই মুহূর্ত বন্দি হয়েছে ক্যামেরায়। পোস্ট করে সানি জানতে চাইলেন, একটা কার্ড ফেরত পেয়েছেন। আর একটি কোথায়?
সেই পোস্টের নীচে বিপুল সংখ্যক মন্তব্যের তালিকা। এক জন লিখেছেন, “যিনি কার্ড কুড়িয়ে ফেরত দিলেন আপনাকে, তাঁকে এক বার ধন্যবাদ জানাতে পারতেন তো?” মন্তব্যকারীকে সমর্থন করেছেন আরও অনেকেই। কটাক্ষ করে একাধিক নেটাগরিক সেই একই ‘ভদ্রতা ও সৌজন্য’ প্রদর্শনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন সানিকে। যদিও তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
সানির অনুরাগীর সংখ্যাও কম নয়। কাজের পাশাপাশি সংসার সামাল দেওয়া মুখের কথা নয়। তার উপর তিন সন্তানের জননী অভিনেত্রী সানি লিওনি। স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার আর তিনি মিলে ব্যবসা চালান। ৭ বছর বয়সি কন্যা নিশা এবং ৫ বছরের যমজ পুত্র নোয়া এবং অ্যাশেরকে নিয়ে তাঁদের সংসার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সানি তাঁর মাতৃত্ব এবং কর্মজীবন একসঙ্গে সামলানোর বিষয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, একসঙ্গে তিন সন্তানকে সামলানোর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। পর ক্ষণেই অবশ্য বলেন, “ঈশ্বর যা করেন, মঙ্গলের জন্যই।”
২০১১ সালে বিয়ে হয় সানির। ২০১৭ সালে কন্যা নিশাকে দত্তক নেন তিনি। ২০১৮ সালে জন্মায় যমজ পুত্রসন্তান। সানি বলেন, “তিন সন্তানের মা হওয়া আমার পরিকল্পনায় ছিল না। প্রথম বারে এক সন্তান, বছর খানেক বাদে হয়তো আর এক জন, এমনই ভাবনা ছিল। কিন্তু একসঙ্গে তিন সন্তানের মা হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জিং তো আর কিছুই হতে পারে না।”
সমাজমাধ্যমে প্রায়ই সপরিবার ছবি ভাগ করে নেন সানি। মা হিসাবে কেমন তিনি? সানির বক্তব্য ‘ঠিকঠাক’। নিজেকে কাজের মধ্যে রাখতে ভালবাসেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “আশা করি, আমি ওদের ভাল মানুষ হিসাবে বড় করে তুলতে পারব।”
আনন্দ বাজার