ঢাকাশনিবার , ১৩ মে ২০২৩

‘মোখা দেখতে’ কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ভিড়

মে ১৩, ২০২৩ ৮:২০ অপরাহ্ণ । ৮২ জন

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এজন্য সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা উচ্চতায় ঢেউ আছড়ে পড়ছে।

তবে মহাবিপদ সংকেত ও সৈকতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘূর্ণিঝড় মোখা দেখতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা।

সিলেট থেকে এসেছেন হাসান । তিনি শনিবার  (১৩ মে) বিকেল ৫টার দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে এসে উত্তাল ঢেউয়ের ছবি তুলছিলেন।

নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সমুদ্র পাড়ে কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে হাসান বলেন, সমুদ্রের উত্তাল পানি আর ঝাপটা বাতাসের দোলায় রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে এসেছি। তবে সৈকতে নেমে গোসল করতে না পারায় মন কিছুটা খারাপ।

আব্দুল মালেক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ঘূর্ণিঝড় কীভাবে আঘাত হানে সেটা জন্মের পরও দেখেনি। তাই এটি দেখতে সাগর পাড়ে আসলাম। তবে পথে দুইজন পুলিশ বাধা দিলেও অন্য পাশ দিয়ে এসেছি।

dhakapost

কক্সবাজার পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, সাগরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলেও অনেকে তা অমান্য করে ঢুকে পড়ছেন। আসলে নিজেরা সচেতন না হলে আমরা বাধা দিয়ে কি করতে পারব। বিকেলের দিকে অনেককে সতর্ক করেছি। তবে আমাদের তৎপরতা চলবে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন,  ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় আমরা সব সময় সজাগ আছি। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিচের সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। এটি বাস্তবায়নের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচ কর্মীরা মাঠে নেমেছেন।  কক্সবাজারের উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের জন্য হোটেল-মোটেলগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা পোস্ট

Paris
Paris