ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২২ জুন ২০২৩

রাজশাহীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক ব্যাক্তির কব্জি বিচ্ছিন্নসহ চারজন হাসপাতালে

জুন ২২, ২০২৩ ৯:০৩ অপরাহ্ণ । ১১০ জন

রাজশাহী নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের খুলিপাড়া এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে একজনের হাতের কজ্বি কেটে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে খুলিপাড়া মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া ব্যক্তির নাম খুলিপাড়া এলাকার আলতাফ শেখ। সে পেশায় নাইটগার্ড। মুমুর্ষ অবস্থায় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতলে ভর্তি করানো হলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা চলছে বলে জানা গেছে।

এছাড়াও এই ঘটনায় আরো তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, নগরীর খুলিপাড়া এলাকা শুকুর আর ীর ছেলে মুকুল (৪৫),  আনসার আলীর ছেলে মনা (২৬) ও মনিরুল ইসলামের ছেলে সজল(২৩)।

হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া আলতাফ শেখের ছেলে সাকিব শেখ জানান, আমাদের চাচাতো ভাই মুকুলকে মেরেছে এর জন্য মেডিকেলে  আসছিলাম। এই সময় কোন কিছু বোঝার আগেই ধারালো অস্ত্র নেপালি, চাইনিজসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রবিন, আজিজ, আকাই, মজিদ, হিটলার, নাইম,বাদল, মজিদ, ইয়াসির, সজীব, আমিন, সুইটসহ ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ দল আমার বাবার ডান হাতের কজ্বি অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলে দেয়। এই কাজে অংশে নেওয়া রবিন হাত কেটে নেয়। বাকিরাও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে অন্যদের আহত করে। আমরা নাইমের কাছে বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতটি চাইলে না দিয়ে পাশের একটি বাগানে গিয়ে ফেলে দেয়। পরে ওই হাত নিয়ে তারা আলতাফ কে রামেক হাসপাতলে ভর্তি করায়।

এই অবস্থায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, যারা এই ঘটনায় জড়িত ছিলো তারা এলাকার মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের সাথে জড়িত। পূর্ব থেকেই এলাকায় পানি, ড্রেন, পাইপ ও চলাফেরা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এই নিয়ে এলাকার কাউন্সিলদের সাথে বসে মিমাংসা করা হয়েছে।

বোয়ালিয়া মডেল থানার তদন্ত ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, এই ঘটনা পূর্ব শত্রুতার জেরে হয়েছে। তাদের আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিলো। একাধিকবার স্থানীয় কাউন্সিলদের সাথে বসে মিমাংসা করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

 

Paris
Paris