নেত্রকোনার কলমাকান্দায় অব্যাহত রয়েছে পাহাড়ি ঢল। তার উপর ভারি বর্ষণ। নদীর নাব্যতা দিনে দিনে কমে যাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নিন্মাঞ্চলসহ নদী তীরের নিচু নিচু এলাকা। গ্রামীণ সড়ক যাচ্ছে ডুবে। মানুষ নৌকা নিয়ে পারাপার হচ্ছে।
সরেজমিন কলমাকান্দা উপজেলার পাহাড়ি ঢলের পরিস্থিতি ঘুরে দেখা গেছে। টানা কয়েকদিন বৃষ্টি আর ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দুর্ভোগে পড়েন ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। বর্ষাকালে দিনভর বৃষ্টি থাকা ঋতু অনুয়ায়ী ঠিক থাকলেও এ অঞ্চলের নদী-নালা ভরাট হয়ে যাওয়া যাওয়া হাওরে পলি জমে গভীরতা কমে যাওয়ায় অল্পতেই উব্দাখালি নদীর পানি উপচে আশপাশ এলাকা প্লাবিত হয়।
এছাড়াও গত চার পাঁচ বছর ধরে হাওর এলাকায় ফসল রক্ষা বাঁধ দেয়ার পর সকল মাটি বর্ষায় আবার হাওরে গিয়ে পড়ে। যে কারণে এসকল জলাশয়ে এখন ধারণ ক্ষমতা নেই আগের মতো। যার কারনে পাহাড়ি ঢল বা টানা বর্ষণেই ডুবে যায় জেলার কলমাকান্দাসহ আরও বেশ কয়েকটি উপজেলার কিছু নিন্মাঞ্চল।
স্থানীয় বৃদ্ধ আব্দুর রউফ জানান, তিনি প্রায় ৭২ বছর পার করেছেন। গত কয়েক বছরের মতো ঘটনা আর দেখেননি। আজকাল তো বর্ষাকালে বর্ষা আসে না। আগে পড়ে আসে। আগের দিনে দেখা যেতো পুরো তিন চার মাস প্রচুর বৃষ্টি হতে। তারপরেও এমন দুর্ভোগ হতো না।
এদিকে গত এক সপ্তাহের পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে কলমাকন্দার গণেশ্বরী ও দুর্গাপুরের সোমেম্বরীর শাখা নদী কলমাকান্দার উব্দাখালি নদীতে রবিবার বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে কলমাকান্দা উপজেলার মনতলা গ্রামের ইসবপুর সড়কের ওপর দিয়ে মহিষাশুর হাওরে ঢুকছে পানি। যার কারনে ইসবপুর মনতলা এলাকার মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
নেত্রকোনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন