রাজশাহীতে আট বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতার-সহ একদিন পর পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে আরএমপি’র শাহ্মখদুম থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামির নাম মো: পলাশ শেখ (৩৫)। সে রাজশাহী মহানগরীর শাহ্মখদুম থানার বড় বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার মো: শাহীনের ছেলে।
আজ সোমবার দুপুর ১ টায় উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহ্মখদুম)-এর কার্যালয়ে শাহ্মখদুম ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: নূর আলম সিদ্দিকী এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, গত ১লা জুলাই ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ শনিবার বিকেল ৪ টায় নগরীর শাহ্মখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকার মো: আজিম উদ্দিনের ৯ বছর বয়সের মেয়ে আন্নিকা আক্তার মায়া তার বাড়ির নিকটবর্তী দাদীর বাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে বের হয়। কিন্তু সে বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় তার পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঘটনার পরের দিন শিশুটি’র বাবা শাহ্মখদুম থানায় একটি জিডি করেন।
জিডি এন্ট্রি পরবর্তীতে উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহ্মখদুম) মো: নূর আলম সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহ্মখদুম) এ.এইচ.এম আসাদ হোসেনের নেতৃত্বে শাহ্মখদুম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: নজরুল ইসলাম, এসআই মো: আব্দুল মতিন ও তাঁর টিম নিখোঁজ শিশু আন্নিকাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে শাহ্মখদুম থানা পুলিশের ওই টিম গত ২ জুলাই নওদাপাড়া বাজারে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখতে পায় আসামি পলাশ শেখ গত ১ জুলাই বিকেল ৪টা ৫১ মিনিটে আন্নিকা আক্তার মায়াকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। পলাশকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে গেলে তার পিতা-মাতা জানায় তাকে ২ মাস আগে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তার কিছুক্ষন পর আসামি পলাশ তার ভাই শান্ত’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে।
এরই সূত্র ধরে শাহ্মখদুম থানা পুলিশের ওই টিম বিভিন্ন স্থানের ও আরএমপি’র সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় আজ ৩ জুলাই ভোর ৪ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নাটোর জেলার সদর থানার মাদ্রাসা মোড় হতে আসামি পলাশকে গ্রেফতার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ পুলিশকে জানায়, সে শিশু আন্নিকাকে ধর্ষনের পর হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে রাখেছে। পরে পলাশকে সাথে নিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ।
পরবর্তীতে আজ সোমবার ভোর পৌনে ৬টায় রাজশাহী নগরীর ছোটবনগ্রামে একটি পুকুর থেকে শিশু আন্নিকার লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতেররা বিরুদ্ধে শাহ্মখদুম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।