ঢাকাবুধবার , ৫ জুলাই ২০২৩

রাজশাহীতে ফেনসিডিলের বড় চালানসহ ভারতীয় আটক

জুলাই ৫, ২০২৩ ৮:২৯ অপরাহ্ণ । ১০২ জন

রাজশাহীতে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা ফেনসিডিলের একটি বড় চালান ধরা পড়েছে। বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রাম থেকে এসব ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় এক ভারতীয় নাগরিকসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (০৫ জুলাই) ভোরে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ফেনসিডিল জব্দসহ তাদের আটক করে।

আটকরা হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের মৃত খাদেম মণ্ডলের ছেলে চপল আলী (৩৫) ও ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়া থানার কাগরামারি এলাকার মৃত নুজবার শেখের ছেলে জামরুল শেখ (৩৪)।

রাজশাহী পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, ভারত থেকে রাজশাহীতে পাচার হয়ে আসা ফেনসিডিলের বড় একটি চালান জব্দ করা হয়েছে। হেরোইন এবং গাঁজা উদ্ধারে জেলা পুলিশের রেকর্ডের পর তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফেনসিডিলের এই বড় চালান আটক হলো। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে বাঘার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের একটি আম বাগান থেকে ফেনসিডিলসহ দুইজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থেকে পাচার হয়ে আসা ৭৪৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আটকদের মধ্যে জামরুল নামে এক ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। তিনি গত রাতেই বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসেন।

পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, অভিযান পরিচালনার সময় আরও তিন মাদক কারবারি পালিয়ে গেছেন। পরে জামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, আগেও তিনি অসংখ্যবার এমন বড় বড় চালান নদীপথে বাংলাদেশে এনেছেন। বর্ষাকালে নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় ফেনসিডিল আনতে তার সুবিধা হয়। তিনি ফেনসিডিলের বস্তা টিউবের সঙ্গে বেঁধে সাঁতরে নদী পাড়ি দেন।

এছাড়া চপল জানিয়েছেন তিনিও দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিলের ব্যবসা করেন। বাঘা থানার তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি তিনি। তার নামে থানায় পাঁচটি মাদক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা আছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় নতুন মামলা হবে বলেও জানান এসপি।

এর আগে রাজশাহী জেলা পুলিশের অভিযানে গত জুন মাসে সাড়ে সাত কেজি হেরোইনসহ এক ব্যক্তিকে এবং ৫৬ কেজি গাঁজাসহ দুইজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল। এগুলো স্মরণকালের সবচেয়ে বড় মাদক উদ্ধারের সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে দাবি জেলা পুলিশের।

 

Paris
Paris