ঢাকার পর রাজশাহীতেও উদ্বেগ ছড়াচ্ছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। প্রায় এক মাস থেকে একজন একজন করে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে।
বিশেষ করে ঈদের পর থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ২৮ জন ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি হয়েছেন। তবে তারা বেশির ভাগই ঢাকা থেকে আসা। এছাড়া দুইজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়।
রাজশাহী বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশাদুজ্জামান আশাদ বলেন, গত চারদিনে ছয়জনের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে দুইজনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।
তাদের একজনের নাম আবু সাঈদ (২৬)। তার বাড়ি বাঘার উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে। অপরজন হলেন- বাপ্পু রহমান (৩০)। তার বাড়ি ঢাকাচন্দ্রগাতি গ্রামে। এর মধ্যে বাপ্পু রহমান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আবু সাঈদ বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবু সাঈদ পাবনায় গিয়ে এবং বাপ্পু ঢাকার মুন্সীগঞ্জে গিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত সবাই রাজশাহীর বাইরের জেলায় থাকেন। কোনো না কোনোভাবে তাদের ঢাকায় থাকা বা বেড়িয়ে আসার ঘটনা আছে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে তারা জ্বরে আক্রান্ত হন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহম্মেদ বলেন, তারা এক মাস আগে থেকেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখে ছিলেন। ঈদের আগে ও পরে অনেকেই এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এজন্য আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ডও খোলা হয়েছে। হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডটি আপাতত ডেঙ্গু ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে ১৮টি বেড রয়েছে। পরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা যদি বাড়ে তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহম্মেদ বলেন, আক্রান্তরা বেশিরভাগই ঢাকার বা তাদের ঢাকা ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে। এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে ১০ জন রোগী ভর্তি আছেন। বাংলানিউজ