বলিউড আর দক্ষিণ—এ দুই ছায়াছবির দুনিয়াতেই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন তামান্না ভাটিয়া। তবে দক্ষিণেই তাঁর নামডাক একটু বেশি। আর বলিউড হোক বা দক্ষিণ, ওটিটি হোক বা বড় পর্দা—সব ক্ষেত্রেই সমতা বজায় রেখে কাজ করে চলেছেন। তবে তাঁর মনের টান মনে হয় দক্ষিণের দিকেই বেশি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারেও তামান্নার কণ্ঠে দক্ষিণি অভিনেতাদের প্রশংসা শোনা গেছে।
অমর উজালা পত্রিকাকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তামান্না বলেন, ‘চিরঞ্জীবী স্যার আমার ক্যারিয়ারে সেসব মানুষের একজন, যিনি আমাকে বলেছিলেন যে আমি তারকা হতে চলেছি। আর এ কথা তিনি তখন বলেছিলেন, যখন আমি রামচরণের সঙ্গে একটা ছবিতে কাজ করছিলাম। আর তখন পর্যন্ত আমি অন্য কোনো ছবিতে কাজ করিনি।’
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘দক্ষিণের অভিনেতারা সেটে অভিনেত্রীদের অনেক বেশি খেয়াল রাখেন। আমি রামচরণ ছাড়া নাগার্জুন স্যারের ছেলে নাগা চৈতন্যের সঙ্গেও কাজ করেছি। আমি যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের প্রত্যেকের ব্যবহার আর আচরণ দারুণ। তাঁরা প্রত্যেকে অন্যকে সম্মান করতে জানেন। তাঁদের মধ্যে সংস্কৃতি আর শিক্ষা ভরপুর। আমার মনে হয়, ওখানকার সুপারস্টাররা তাঁদের ছেলেদের সুশিক্ষা আর শালীনতার মধ্যে বড় করেছেন।’
এ সাক্ষাৎকারে মেগাস্টার রজনীকান্তর প্রসঙ্গ টেনে তামান্না বলেন, ‘রজনী স্যার আমাকে সত্যি সত্যি চমকে দিয়েছিলেন। আমি তাঁর সঙ্গে মাত্র এক দিন কাজ করেছিলাম। আর এমনও না যে তাঁর সঙ্গে আমার আগে থেকেই পরিচয় ছিল। কিন্তু তিনি আমার কথা ভেবে আমার জন্য একটা বই কিনেছিলেন। আমার তখন মনে হয়েছিল, এসব সুপারস্টার এমনি এমনি সুপারস্টার হননি। আর তাঁরা জানেন, মানুষের সঙ্গে মানুষের মতো ব্যবহার করতে হয়। এখন এটা কম দেখা যায়। আমি দেখেছি, মানুষ তাঁর কর্মচারীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন না। এসবে খুব বিরক্ত লাগে।’
এই মুহূর্তে তামান্নার দুটি প্রকল্প লাস্ট স্টোরিজ ২ আর জি করদা ওটিটির দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে। তামান্নাকে ভবিষ্যতে রজনীকান্তর সঙ্গে জেলার ছবিতে দেখা যাবে। এ ছাড়া চিরঞ্জীবীর সঙ্গে তিনি ভোলা শঙ্কর ছবির মূল চরিত্রে আছেন।
প্রথম আলো