প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ও ভরসা রয়েছে। জনগণের আস্থা না থাকলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগে জনগণের পাশে থেকে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। সবসময় দেশের এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত থাকে। অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে সর্বত্র কাজ করছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সেনাবাহিনী অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাই আমরা নিশ্চিত যে কাজগুলো গুণগত মান নিশ্চিত করে দ্রুত সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন আমাদের সেনাবাহিনী হবে জনগণের সেনাবাহিনী’। আমিও বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের সেনাবাহিনী হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সেনা নির্বাচন বোর্ড-২০২৩-কে নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতির জন্য যোগ্য ও বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের বাছাই করতে বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে অফিসারদের কমান্ড দেওয়ার দক্ষতা বা (বিশেষ পরিস্থিতিতে) দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে কি না- সেদিকেও মনোযোগ দিতে হবে আপনাদের।
পদোন্নতির জন্য যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করতে নির্বাচন বোর্ড সততা ও সঠিক বিচারের সঙ্গে পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী বলে কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না। কারণ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উন্নয়নের পূর্বশর্ত।
এ সময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলানিউজ