আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদেশি বন্ধুদের বলতে চাই, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধাই হচ্ছে বিএনপি। অতিরিক্ত জামাকাপড় নিয়ে ঢাকা আসতে বলেছে, গণভবন থেকে শেখ হাসিনাকে না হটিয়ে সরবে না।
এটাই আজীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ও বাংলাদেশ থেকে রাজনীতি করবে না বলে লন্ডনে পাড়ি জমানো তাদের নেতার নির্দেশনা।
শনিবার(২৯ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে জরুরি যৌথসভা থেকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যা আশঙ্কা করেছি, তাই সত্যি হয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাস, তারা এটাই চেয়েছিল, শুরু করতো গতকাল। গতকাল আমাদের শক্ত অবস্থানের কারণে তারা করতে পারেনি। সংঘাতের বিরুদ্ধে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা পবিত্র দায়িত্ব মনে করেছি। আমরা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব।
আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি পরিষ্কার বলতে চাই, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস আবার শুরু করেছে। ঢাকা শহরে ঢুকে রাস্তা বন্ধ করে দেবে এটা কি তার বাপ-দাদার সম্পত্তি যে, যেটা ইচ্ছে সেটা করবে!
বিএনপি আইন মানে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালতের আদেশ দুর্বৃত্ত তারেক জিয়া লঙ্ঘন করেছে। তার বক্তব্য, স্টেটমেন্ট প্রচার করা যাবে না। আদালত অবমাননা করা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিচ্ছে। গতকাল এমনও বলেছে, একটা লাশ ফেলতে, দশটা লাশ ফেলতে। লাশ ছাড়া, টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। সে বলে লাশ ফেললে টাকার অভাব হবে না। লন্ডনে কি করে সে? এতো টাকা কোথায় পায়। লন্ডনে অর্থনৈতিক সংকট অথচ তার টাকার অভাব নেই। তার বাবা জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, রাজনীতিতে টাকা কোনো সমস্যা না। আর বাবার মতো সেও বলে আন্দোলনে টাকা সমস্যা না। সে কি আইনের ঊর্ধ্বে? ফখরুল, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরের কথা শুনলে মনে হয় আইন মানে না, আইন স্বীকার করে না।
জরুরি যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামসহ আ’লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বাংলানিউজ