ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ এক বিমান হামলায় অন্তত ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণ অংশের একটি ভবনে ওই বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। হামলার পর প্রাথমিকভাবে ২৫ জন এবং পরে ৫৪ জন নিহতের কথা বলা হয়। তবে পরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। গাজার খান ইউনিস ও রাফাহ এলাকায় অবিরাম বোমা হামলার খবর পাওয়া গেছে।
গাজার একটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, রাফাহ ও খান ইউনিসের বাড়িগুলোতে চালানো বোমা হামলায় আরও কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা রাতে গাজা উপত্যকায় হামাস সদস্যদের অবস্থান লক্ষ্য করে ২০০টিরও বেশি বোমা ছুড়েছে।
গাজার উত্তরাঞ্চলেও ইসরাইলের ভারি গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। আলজাজিরা বলছে, উত্তর গাজা উপত্যকার কিছু এলাকায় ইসরাইলের ভারি গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গত ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলে নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। পরে তারা ইসরাইলে ঢুকে আক্রমণ শুরু করে। হামাসের হামলায় ইসরাইলে প্রায় ১৪০০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৮৬ জন সেনাসদস্যও রয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই হামলার পর পরই গাজায় পালটা বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। হামাসকে নির্মূলের ঘোষণা দেয় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। গত শনিবার থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ২ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও প্রায় ১১ হাজার মানুষ।
যুগান্তর