হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় পরাজয়ের স্বাদ পেলো জস বাটলারের দল। বলে ব্যাটে কর্তৃত্ব দেখিয়ে স্রেফ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের যেন উড়িয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ব্যাঙ্গালুরুতে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৩.২ ওভারে মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে ২৫.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
এই নিয়ে বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এদিকে টানা তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখলো ইংলিশারা। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক হারের অভিজ্ঞতা হলো ইংল্যান্ডের।
লক্ষ্য বেশি ছিল না। তবুও শুরুতে উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। কুশল পেরেরা (৪) ও কুশল মেন্ডিস (১১) সাজঘরে ফেরেন দলীয় ২৩ রানে। এরপর ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা চারে নামা সাদিরা সামারাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে রেকর্ড জুটি গড়ে ম্যাচ শেষে করে আসেন।
৮৩ বলে ৭৭ রান করে নিসাঙ্কা ও মাত্র ৫৪ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন সামারাবিক্রমা। দুজনের জুটি থেকে আসে ১৩৭ রান। বিশ্বকাপে এটি ইংলিশদের বিপক্ষে লঙ্কানদের তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি। নিসাঙ্কা এদিন দারুণ একটি রেকর্ডেও নাম লেখান। দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কান হিসেবে বিশ্বকাপে টানা চারটি ফিফটির কৃতিত্ব গড়েন। এতদিন এই কীর্তি ছিল কুমার সাঙ্গাকারার। ইংলিশদের হয়ে দুটি উইকেটই নেন ডেভিড উইলি।
এর আগে লঙ্কান বোলারদের তোপে বিশ্বকাপে দেশটির বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ড। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে যেকোনো দলের বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ২০১৫ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৩ রানে অলআউট এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন।
অথচ শুরুটা ভালোই হয়েছিল ইংল্যান্ডের। ঝড়ের আভাস দেন জনি বেয়ারস্টো-ডেভিড মালান। ২৫ বলে ২৮ রান করে মালান ফেরেন শুরুতে। এরপর ক্রিজে এসে জো রুট রানআউট হয়ে ফিরতে যেন আউটের হিড়িক লেগে যায়। উইকেটের মিছিলে ধুঁকতে থাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে বেন স্টোকসের ব্যাট থেকে। ৩০ রান করেন বেয়ারস্টো। ১৫ রান আসে মঈন আলীর ব্যাট থেকে। ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন উইলি। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন লাহিরু কুমারা। ২টি করে উইকেট নেন কাসুন রাজিথা ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ।
রাইজিংবিডি