ঢাকারবিবার , ২৯ অক্টোবর ২০২৩
  • অন্যান্য

সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জিনাতুন নেসা আর নেই

অক্টোবর ২৯, ২০২৩ ৬:৪৮ অপরাহ্ণ । ৬৬ জন

সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জিনাতুন নেসা তালুকদার আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

রোববার (২৯ অক্টোবর) ভোর ৬টায় রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। (ইন্নালিল্লাহি নিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন)।

আজ বেলা ১২টার দিকে তার ছেলে মাহমুদ হাসান ফয়সাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার হার্টের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। তার হার্টের ভালভ প্রতিস্থাপন করার কথা ছিল। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি সর্বশেষ জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২০ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ২২ অক্টোবর আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়। গোসল শেষে আজ দুপুরে তার মরদেহ ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হবে। আগামীকাল সোমবার বাদ জোহর মহানগর ঈদগাহে (মোহাম্মদপুর, টিকাপাড়া) তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

জানাজা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা জিনাতুন নেসা তালুকদারের মরদেহ রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জ গোরস্থানে দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।

সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রবিবার (২৯ অক্টোবর) এক শোক বিবৃতিতে এই শোক প্রকাশ করেন রাসিক মেয়র মহোদয়।

শোক বিবৃতিতে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদারের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের সাহসী নেতৃত্ব, সততা ও আদর্শের প্রতি অবিচল ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার। তিনি কলেজ জীবন থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। নারী অধিকার বাস্তবায়নে ভুমিকা রাখায় বেগম রোকেয়া পদক-২০১৮ এবং শিক্ষা সম্প্রসারণে অবদান রাখায় ১৯৯৮ সালে মীর মোশাররফ হোসনে পদক পান অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

শোক বিবৃতিতে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার বেশ কয়েকদিন থেকে ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

Paris