গ্রাম ও শহরের প্রান্তিক মানুষের জন্য জলবায়ু তহবিলের দাবি জানানো হয়েছে। রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর পবা উপজেলায় আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়।
‘জলবাযু পরিবর্তনের জন্য আমরা দায়ী নই, কিন্তু ক্ষতির শিকার আমরা কেন হবো, আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই’ এই দাবিতে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে, বেড়েছে দুর্যোগও। বরেন্দ্র অঞ্চলের খরা এবং হঠাৎ অসময়ে অতিবৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রান্তিক কৃষক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। কিন্তু তাদের ক্ষতির দিকগুলো নিয়ে কেউ জাতীয় পর্যায়ে ভাবছেন না। তাই কৃষকরাও ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। অন্যদিকে মহানগরের বস্তিবাসীদের জন্য নিরাপদ বাসস্থানসহ কর্মসংস্থান দিনে দিনে নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছে। আয় ব্যয়ের সাথে সমন্বয় ঘটাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রান্তিক মানুষদের। বৈশ্বিক যুদ্ধের প্রভাবসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমাদের গ্রাম ও শহর পর্যায়েও পড়েছে। আমরা এই ক্ষতিপূরণের দাবি করছি। আমরা জলবায়ু তহবিলের সঠির ও ন্যায্যতা চাই।
মানববন্ধনটি আয়োজন করে বরেন্দ্র অঞ্চলের যুবদের বৃহৎ ঐক্য বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম। এতে অংশগ্রহণ ও সংহতি জানায় স্বচ্ছলতা অ্যাসোসিয়েশন, যুব সংগঠন সূর্যকিরণ, উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।
মানববন্ধনে বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাবিত্রী হেমব্রম, বারসিক’র গবেষক শহিদুল ইসলাম, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি শাইখ তাসনিম জামালসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে প্রান্তিক শিশু, কৃষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কৃষক, নারী পুরুষসহ নানান শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।