সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব-ইসলামী শীর্ষ সম্মেলনে বসা মুসলিম দেশের নেতারা ইসরাইলের আত্মরক্ষার অজুহাত প্রত্যাখ্যান করেছেন। পাশাপাশি গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন।
শনিবার আরব লিগ এবং অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) যৌথ শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফল যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আঞ্চলিক বিভক্তিগুলো তুলে ধরেছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে এবং গাজায় ইসরাইলের আকাশ ও স্থল আক্রমণের জন্য ব্যাপক ক্ষোভের পটভূমিতে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আলজাজিরা।
সম্মেলনে নেতারা ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে একটি সিদ্ধান্তমূলক এবং বাধ্যতামূলক প্রস্তাব গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান যুদ্ধের আগে ইসরাইলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা ভেবেছিলেন। তবে শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেছেন, তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন। গাজায় সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার এবং সব বন্দির মুক্তির আহ্বানও জানিয়েছেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেছেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ইসরাইলের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় জড়ানো উচিত নয়।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ‘এটা লজ্জাজনক যে পশ্চিমা দেশগুলো, যারা সবসময় মানবাধিকার ও স্বাধীনতার কথা বলে, তারা ফিলিস্তিনের চলমান গণহত্যার সময় নীরব রয়েছে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলা কূটনীতিকদের মতে, আলজেরিয়া এবং লেবাননসহ কিছু দেশ ইসরাইল এবং তার মিত্রদের তেল সরবরাহ ব্যাহত করার পাশাপাশি ইসরাইলের সঙ্গে আরব লিগের দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে। ইসরাইল এবং এর প্রধান সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির দাবি প্রত্যাখ্যান করছে।
যুগান্তর