রাসিক মেয়র আরো বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় চার লাখ মসজিদে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক শিক্ষা প্রদানের এই প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঝরে পড়া শিশু, বয়স্কদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। ইমামগণ জুমা নামাজে সামাজিক নানা প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদান করে থাকেন। কোভিড পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের পাশাপাশি ইমামগণ নানা ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছেন। ইভটিজিং, মাদক নিয়ন্ত্রণ, বাল্যবিবাহ রোধ, নানামূখী আয়বর্ধকমূলক কাজ করে থাকেন যার সুফল ভোগ করছে। আপনাদের নানামূখী উদ্যোগে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। যুব সমাজ বসে না থেকে গবাদি পশু পালন, মৎস চাষ, কৃষি ভিত্তিক আয় বৃদ্ধিমুলক বিভিন্ন কর্মমূখী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেদের তথা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছেন। যুব সমাজকে উৎসাহিত করতে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভূক্ত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর করার উদ্যোগ গ্রহণের আশ^াস প্রদান করেন। মানুষ মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। জাতি গঠনে ইমামদের অবদান অনেক।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয় রাজশাহীর পরিচালক মোঃ আনিসুজ্জামান সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. বারকুল্লাহ বিন দুরুল হুদা। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয় রাজশাহীর সহকারী পরিচালক একেএম মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক প্রশাসন কৃষিবিদ মোঃ মুরশিদুল ইসলাম।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, ওলামা কল্যান পরিষদের সভাপতি ও সাহেব বাজার জামে মসজিদেও পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল গণি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয় রাজশাহীর ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সহ আট জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকবৃন্দ, ফিল্ড অফিসার, ফিল্ড সুপারভাইজার ও মাস্টার ট্রেইনার।