রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাস থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় কয়েকটি পেট্রল বোমা, রামদা, ধারালো অস্ত্র, রড, লোহার পাইপ ও মদের খালি বোতলও উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে কলেজ হোস্টেলে সেনাবাহিনী ও বিজিবি এক যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করে।
পরে উদ্ধার হওয়া ককটেলগুলো বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের মাধ্যমে রাজশাহী কলেজ মুসলিম হোস্টেলের মাঠে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া ধারালো অস্ত্রগুলো বোয়ালিয়া থানায় জমা দেওয়া হয়।
রাজশাহী কলেজ মুসলিম হোস্টেলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর গোলাম রাব্বানী বলেন, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) তারা জানতে পারেন যে, হোস্টেলের এফ- ব্লকের দোতলায় ছয় নম্বর রুমে ১০টি ককটেল রয়েছে।
তারপর তারা বোয়ালিয়া থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে বিষয়টা জানান।
এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে যেসব রুম রাজনীতির কাজে ব্যবহার হতো সেসব রুমে তল্লাশি চালায়।
এ সময় ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, লাঠিসোঁটা এবং ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
হোস্টেলের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ও ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান মানিক বলেন, তিনি ৬/৭ দিন হলো হোস্টেলের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। আর হোস্টেলে থাকতে পারেন না, সেই সুযোগও নেই। তাই কে কখন কী নিয়ে ঢুকছে সেটা দেখার বা জানতে চাওয়ার সাহসও কেউ রাখে না। তবে জানামতে তাদের সামনে দিয়ে এসব কিছুই ঘটেনি।
রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. আব্দুল খালেক বলেন, তিনি অন্যত্র বদলির জন্য আবেদন দিয়েছেন। এখন আর অফিস করছেন না। নতুন হোস্টেল সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ছাত্র ওঠানোর জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন। রুম পরিষ্কার করার সময় এসব পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। তারা গিয়ে এসব উদ্ধার করেন। যেহেতু মাঝখানে একটা অস্বাভাবিক সময় গেছে ওই সময় কেউ হয়তো এগুলো রাখতে পারে।
বাংলানিউজ