বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে একবছরে তিনধাপ পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ১৯.৪ স্কোর নিয়ে ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ৮৪তম। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) আয়ারল্যান্ড ভিত্তিক ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ ও জার্মানিভিত্তিক ‘ওয়েলথাংগারহিলফে’ কর্তৃক যৌথভাবে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক: লৈঙ্গিক ন্যায়বিচার কীভাবে জলবায়ু স্থিতিশীলতা ও ক্ষুধামুক্তি নিশ্চিত করতে পারে’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
সূচক অনুযায়ী, ক্ষুধার মাত্রা বাংলাদেশে মধ্যম পর্যায়ে রয়েছে।
গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) চারটি মাপকাঠির ওপর বিচার করে প্রতিবেদন তৈরি করে- অপুষ্টির হার, উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুর হার,পাঁচ বছরের কমবয়সীদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশুর হার, পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ১১ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ অপুষ্টির শিকার। এছাড়া দেশে অপুষ্টির কারণে পাঁচ বছরের কমবয়সী ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, পাঁচ বছরের নিচে অন্তত ১১ শতাংশ শিশু রয়েছে যাদের শারীরিক বিকাশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বয়স ও উচ্চতা অনুপাতে ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
২ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু তাদের পঞ্চম জন্মদিনে পৌঁছানোর আগেই মারা যায়।
এবারের ক্ষুধা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দেশটির অবস্থান ৫৬তম। আর সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা ১১৬তম আফগানিস্তানের।
১২৭টি দেশের মধ্যে নেপাল ৬৮তম ও পাকিস্তান ১০৯তম অবস্থানে আছে। আর প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ১০৫তম।
পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে মালদ্বীপ ও ভুটানকে এই সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বাংলাট্রিবিউন