ঢাকাসোমবার , ৭ মার্চ ২০২২
  • অন্যান্য

রাজশাহীতে দোকানী কেনো রেখেছিলেন ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল

মার্চ ৭, ২০২২ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ । ১২৬ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক:


সম্প্রতি বাজারে বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে বেশি কিছু খাদ্যদ্রব্যের দামও। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনফার জন্য বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। তারা সয়াবিন তেল কিনে গুদামজাত করেছে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। এই ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে ছিল, আসন্ন মাহে রমজানে বেশি দামে তেলগুলো বিক্রি করা ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার অস্থিতিশীল করা।

রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে এমন একজন ব্যবসায়ীর গুদামে হানা দেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। নগরীর হাদির মোড়ের ‘শাহাবুদ্দিন স্টোর’ নামের ওই দোকান মালিক জুয়েলের বাড়ি থেকে ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। এসময় জুয়েলকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- শাহাবুদ্দিন স্টোরের পাশেই একটি বাড়ির দোতলায় ব্যবসায়ী জুয়েলের গুদাম। জুয়েল তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মালামাল সেখানে রাখেন। সেই গুদামে লুকিয়ে রেখেছিলেন ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল। রমজানে বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রির আশায়। এর আগে জুয়েল দোকানে সয়াবিন তেল নেই বলে অনেক ক্রেতাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

‘শাহাবুদ্দিন স্টোর’র মালিক জুয়েল জানায়, ‘বেশ কিছু ক্রেতা রয়েছে। তাদের জন্য এই তেলগুলো রেখেছি।’ তবে কতজন ক্রেতা আছে তা তিনি বলতে পারেনি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ বলেন, ক্রেতা সেজে আমরা জুয়েলের দোকানে যাই। তখন জুয়েল জানান, তার দোকানে সয়াবিন তেল নেই। এত বড় দোকানে সয়াবিন তেল নেই দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তার গুদামটি সম্পর্কে খোঁজ পাই। তারপর জুয়েল কোনোভাবেই গুদামে নিয়ে যাবেন না। একরকম জোর করে সেখানে গিয়ে দেখি ৮০০ লিটার তেল।

হাসান-আল-মারুফ আরও জানান, সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে জুয়েলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া তার কাছ থেকে একটি মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে জুয়েল সব তেল বোতলে লেখা মূল্যে বিক্রি করে দেবেন বলে মুচলেকা দিয়েছেন। তেল বিক্রি না করলে তার বিরুদ্ধে আবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জানান, শাহাবুদ্দিন স্টোর পুরানো একটি দোকান। তারা দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা করে আসছে। তবে তারা ক্রেতাদের প্রতারণা করছে; এটা জানা ছিল না আমাদের। তারা সয়াবিন তেল রেখে ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। তাদের ধারণা কয়েকটি দোকানে ঘুরে যখন ক্রেতারা তেল পাবেন না তখন এমনিতেই বেশি দামে সয়াবিন তেল কিনবে।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন জানান, একটি অসাধু চক্র এমন কাজ করছে। জেলা প্রশাসকসহ আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসব অভিযান আরো জোরদার করা উচিত।

রাজশাহীতে কোনো সিন্ডিকেট আছে কি না এমন কথার উত্তরে তিনি বলেন, আমার জানা মতে নেই। তবে যারা বিদেশ থেকে তেল আমদানি করেন তারাই সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ন্ত্রণ করেন।