তবে ব্যাংকগুলো ৯ শতাংশ সুদে যে ঋণ দিচ্ছে, সেটির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ব্যাংকগুলো বেশি সুদে টাকা ধার করলেও ঋণের সুদ বাড়াতে পারবে না। এর ফলে ব্যাংক টাকা ধার নেওয়া কমাবে, ঋণও কম দেবে। এ কারণে এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম লক্ষ্য। এ জন্য রেপো সুদহার বাড়ানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাব কাটিয়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শক্তিশালী হলেও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহব্যবস্থায় সৃষ্ট সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে বিশ্বে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে অসামঞ্জস্য এখনো বিদ্যমান। এর ফলে ২০২১ সালের শুরু থেকে বিশ্ববাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে, যা এখনো পূর্বাবস্থায় ফেরেনি। এ জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ওভার নাইট বা এক দিনের জন্য ধার করা টাকা বা রেপোর সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ গত ২৯ জুন রেপো সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ২৯ মে বাড়ানো হয়েছিল ৫০ বেসিস পয়েন্ট। রেপো সুদহার বাড়লেও রিভার্স রেপোর সুদহার ৪ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। রিভার্স রেপো হলো ব্যাংকের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা তুলে নেওয়ার সুদহার।
প্রথম আলো