সিলেটের গ্যালারি দর্শকে ভরে উঠেছে। হাজার পাঁচেক মানুষ তো হবেই। ক্রিকেটের আনন্দে বুঁদ হতে এসে হতাশই নিশ্চয়ই হয়েছেন তারা। এশিয়া কাপ ভারত জিতবে, এটা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে কোনো পাত্তা না দিয়েই। ঠিক যেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌরের বলা ‘স্ট্যান্ডার্ড’ ধরে রেখে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে ৮ ওভার ৩ বল খেলেই জয় পায় ভারত। এশিয়া কাপের আট আসরে এটি তাদের সপ্তম শিরোপা।
অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩২ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় ভারত। ৮ বলে ৫ রান করে ওপেনার শেফালি ভার্মা ফিরলে এই জুটি ভাঙে। ৪ বলে ২ রান করে জেমাইমা রদ্রিগেজ ও দিহারি আউট হলে মৃদু সম্ভাবনা জেগে উঠেছিল জাদুকরী কিছুর।
কিন্তু স্মৃতি মান্ধানা ও অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর তেমন কোনো সুযোগই দেননি। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ২৫ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন স্মৃতি। ১৪ বলে ১১ রান করে অপরাজিত ছিলেন হারমান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে এসে দেখা পায় প্রথম বাউন্ডারির, স্কোরবোর্ডে তখন ৭ রান। এরপর তৃতীয় ওভারে গিয়ে হারিয়ে ফেলে অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুর উইকেট।
ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান দলের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম। ১ চারে ১২ বলে ৬ রান করেন চামারি। তার বিদায়ের পরই পতন শুরু হয় লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপে। হারশিতা সামারাবিক্রমা ৫ বলে ১ রান করে রেনুকা সিংয়ের বলে ক্যাচ তুলে দেন উইকেটরক্ষক রিচা ঘোষের হাতে।
এরপর আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার আনুস্কা সানজেওয়ানি ৪ বলে ২ রান করে রান আউট হন। লঙ্কানদের জন্য কিছু রান আসে শেষ উইকেটের জুটিতে। ৪৩ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর শেষ পর্যন্ত ইনিংস টেনে নেন ইনুকা রানাওয়ারা ও আচিনি কুলাসুরিয়া।
ইনুকা দলের পক্ষে ২২ বলে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন আর ১৩ বলে ৬ রান আসে আচিনির ব্যাট থেকে। ভারতের পক্ষে ৩ ওভারে ১ মেডেনসহ ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রেনুকা সিং। দুই উইকেট করে নেন রাজশ্রী গায়কোয়াড ও স্নেহা রানা।
বাংলানিউজ