গোলমুখে ছুটছেন। পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছেন দুজন। সামনে শুধু গোলরক্ষক, তবুও হয়নি গোল। এমন দৃশ্য বেশ কয়েকবার দেখা গেছে ডেনমার্ক ও তিউনিশিয়ার ম্যাচে। কখনো গোলরক্ষক রুখে দিয়েছেন, আবার কখনো ফুটবলার ভুল করে বসেছেন।
শেষ পর্যন্ত এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে গ্রুপ ডি’র প্রথম লড়াইয়ে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছেড়েছে ডেনমার্ক ও তিউনিশিয়া। সমান পয়েন্ট ভাগাভাগি করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের।
অথচ এই ম্যাচে হতে পারত গোল উৎসব। কাগজে-কলমে তিউনিশিয়া আন্ডারডগ হলেও তাদের চোখ রাঙানিতে ড্যানিশদের অবস্থা ছিল ভড়কে যাওয়া দলের মতো। ১৯৬৬ সাল থেকে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে গোল মুখে সর্বোচ্চ ১৪টি শট নেওয়া হয়। কর্নারসহ এই হিসেবটি ধরা হয়েছে।
ম্যাচের শুরু থেকে তিউনিশিয়া খেলেছে দুর্দান্ত। প্রথমার্ধে আক্রমণ করেছে ৮বার! বিপরীতে মাত্র ৩টি নেয় ডেনমার্ক। তবে, দ্বিতীয়ার্ধে তারা কর্তৃত্ব দেখিয়ে খেলেছে। গত ইউরোতে সেমিফাইনাল খেলা ডেনমার্ক এই বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট। প্রথমার্ধে তিউনিশিয়ার আক্রমণে বিপর্যস্ত দেশটি যেন গোল হজমের অপেক্ষা করছিল। তবে ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছেন তারা।
এজন্য দুই দলের গোলরক্ষক কৃতিত্ব পাওয়ার দাবিদার। দুজনেই অসাধারণ কিছু শট বাঁচিয়েছেন ক্ষিপ্রতা ও দক্ষতায়। তিউনিশিয়ার জাল লক্ষ্য করে ১১টি শট নিয়েছে ডেনমার্ক। ৫টি ছিল অন টার্গেট।
অন্যদিকে, সমানতালে লড়েছে তিউনিশিয়াও। ১৩টি শট নিয়েছে তিউনিশিয়া। একটি ছিল অন টার্গেট। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ডেনমার্ক। তাদের পায়ে ৬১ শতাংশ সময় বল ছিল। ম্যাচে দুটি গোল হয়েছে। দুটিই বাতিল হয়। গোল দুটি করেছে তিউনিশিয়া।
দুই দলে এর আগে কখনো বিশ্বকাপের মঞ্চে মুখোমুখি হয়নি। এবারই প্রথম। দুই দলের ভাগ্যই সমান সমান। একমাত্র প্রীতি ম্যাচে জয় ছিল ডেনমার্কের।
অন্যদিকে, এবার এই ড্র তো তিউনিশিয়ার কাছে জয়ের সমান। ডেনমার্কের মতো দলের কাছ থেকে ১ পয়েন্ট পাওয়া তো কম কথা নয়।
রাইজিংবিডি