ঢাকাবুধবার , ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • অন্যান্য

পুরস্কারে লাথি মারার ঘটনা তদন্ত করছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

ডিসেম্বর ২৮, ২০২২ ৬:২১ অপরাহ্ণ । ১৪২ জন

বিচারকদের রায় মেনে নিতে না পেরে মঞ্চে অতিথিদের সামনেই পুরস্কারে লাথি মারা বডিবিল্ডার জাহিদ হাসানের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে দেশের ক্রীড়ার অভিভাবক সংস্থা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

তদন্ত করতে মন্ত্রণালয়ের দুইজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবলের ফাইনাল উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তাই প্রকৃত ঘটনা কী, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছি আমরা।’

গত শুক্রবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে জাতীয় শরীর গঠন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। পুরস্কারে লাথি দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং চারিদিক থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

তারপর বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশন জরুরী সভা করে জাহিদ হাসানকে আজীবন নিষিদ্ধ করে। বডিবিল্ডার জাহিদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, তাকে অন্যায়ভাবে দ্বিতীয় করা হয়েছে; তিনি পুরস্কার নয়, দুর্নীতিকে লাথি দিয়েছেন।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তদন্ত করা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি এই তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্যটাই উঠে আসবে। ওই সময় ১১ জন বিচারক ছিলেন। এর মধ্যে চারজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এবং বাকিরা সিনিয়র ন্যাশনাল বিচারক। তাদের বিচারের ভিত্তিতে প্রথম ঘোষণা করা হয়েছে মো. আল আমিন সজিবকে। দ্বিতীয় হয়েছেন জাহিদ হাসান।’

জাগোনিউজ