রাসেল ডমিঙ্গো পদত্যাগ করার পর থেকেই গুঞ্জন রটে ফের জাতীয় দলের কোচ হতে পারেন চন্দ্রিকা হাতুরুসিংহে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তার অধীনে খেলে বাংলাদেশ। তার সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণ উন্নতি করে টাইগাররা।
রাসেল ডমিঙ্গো জাতীয় দলের প্রধান কোচ থাকা অবস্থায় সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শ্রীধরন শ্রীরামকে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ভারতের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজ শেষে বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস জানান, টেস্টের জন্যও তারা আলাদা কোচ খুঁজছেন। একদিন পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে রদবদলের আভাস দেন।
এসব কতাবার্তা নিশ্চয়ই কানে গেছে রাসেল ডমিঙ্গোর। নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার জেনে নিজেও দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান টাইগারদের এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ।
ডমিঙ্গোর পদত্যাগের বিষয়টি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস নিশ্চিত করেছেন।
ডমিঙ্গো থাকা অবস্থায় বিসিবি ভেতরে ভেতরে কোচ খুঁজছিল। গোপনে একাধিক কোচের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়। কয়েকজনের সাথে কথাও নাকি হয়েছে। সেই তালিকায় ৩ জনের নাম আছে। একজন হলেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ লংকান চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। অপর দুজন হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনার ও অস্ট্রেলিয়ার মাইক হাসি।
তবে অস্ট্রেলিয়ান মাইক হাসি আর দক্ষিণ আফ্রিকান ল্যান্স ক্লুজনারের চেয়ে টাইগারদের কোচ হওয়ার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে আছেন হাথুরুসিংহে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, হাথুরুসিংহের সাথে কথাবার্তা নাকি অনেকদূরই এগিয়েছে। হাথুরুও নিজের চাহিদার কথা বিসিবিকে জানিয়েছেন। আগের চেয়ে বেতন ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি চেয়েছেন হাথুরু। তারপরও বিসিবি তার প্রতি আগ্রহী।
যুগান্তর