ঢাকাবুধবার , ২৫ জানুয়ারি ২০২৩
  • অন্যান্য

‘কৃষিজমি নষ্ট করে আর অর্থনৈতিক অঞ্চল নয়’

জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ ৭:৪০ অপরাহ্ণ । ১৮৩ জন

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, সরকার কৃষিজমি নষ্ট করে আর কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে চায় না। দেশে এ মুহূর্তে অনেক অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে গেছে। সেখানে অনেক জমিও খালি পড়ে আছে। এখন সবাই নিজ এলাকায় একটা অর্থনৈতিক অঞ্চল চান। কিন্তু আমরা চাই, কোথায় সেটা যথাযথ হবে। আমরা তো কৃষিজমি আর নষ্ট করতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনতে বলেছেন।

বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।

এ সময় বরিশালে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ডিসিদের প্রস্তাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘সবার উদ্দেশে আমি বলেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য দিয়েছেন। মঙ্গলবার আরেকটা টার্গেট দিয়েছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলারে নিয়ে যেতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ অর্জন বা বাস্তবায়ন করা সহজ নয়। অনেক দেশ নিম্নআয় থেকে মধ্যআয়ের দেশে উত্তরণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা ২০-২৫ বছর আগে গ্র্যাজুয়েট করেছে। তারা কিন্তু এরপর পরবর্তী ধাপে যেতে পারেনি। আমরা এলডিসি হিসেবেও ওদের চেয়ে ভালো আছি।’

‘তবে যেসব দেশ এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েট করেছে, হাতেগোনা কয়েকটি দেশ কিন্তু উন্নত দেশ হতে পেরেছে। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর উন্নত হতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্যটা দিয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে মাঠপর্যায় থেকে কাজ করতে হবে। ডিসিদের সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। টার্গেট পূরণে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা দিয়েছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, কোয়ান্টাম কম্পিউটার, অপটিক্যাল ফাইবার এসব প্রযুক্তি যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে টার্গেট অ্যাচিভ করা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা। প্রধানমন্ত্রী সেটার ওপরও জোর দিয়েছেন। উনি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনতে বলেছেন। এ দুটি বিষয় যদি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ ও ১২ হাজার ডলার মথাপিছু আয়ের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।’

সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডিসিরা নানা কথা বলেছেন। কোথাও গ্যাসের সমস্যা, বিসিক শিল্পনগরীর বিভিন্ন সমস্যার কথা তারা তুলে ধরেছেন।’

যুগান্তর