ঢাকাশনিবার , ১৫ এপ্রিল ২০২৩
  • অন্যান্য

রাজশাহীতে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কারখানা

এপ্রিল ১৫, ২০২৩ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ । ২৬৪ জন

বাংলাদেশে প্রথম ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কারখানা হচ্ছে রাজশাহীতে। কারখানাটিতে বিশ্বমানের ‘এ’ গ্রেডের ব্যাট তৈরি করা হবে। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশি খেলোয়াড়দের হাতে শোভা পাবে। ক্রিকেট ব্যাট তৈরিতে ভারত, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও সেসব দেশের খেলোয়াড়দের নতুন ও পুরোনো ব্যাট মেরামত হয় রাজশাহীতে। ব্যাটের খুঁটিনাটি মেরামতের ছোট্ট ঘরটিই পরিণত হতে যাচ্ছে বড় কারখানায়। আর এই ব্যাট ব্র্যান্ডিংয়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এমকেএস স্পোর্টস’। লেখা থাকবে মেড ইন বাংলাদেশ।

ব্যাটের কারিগর রাজশাহীর হুসাইন মোহাম্মদ আফতাব শাহিনকে সঙ্গে নিয়ে কারখানা তৈরির স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মেহেদী হাসান মিরাজ এবং ইমরুল কায়েস। যার নাম দিয়েছেন ‘এমকেএস স্পোর্টস’। এটিই হবে দেশের প্রথম ব্যাট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমার বার এলাকায় চলতি মাসের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। আর উৎপাদনে যাবে জুন মাসে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হুসাইন মোহাম্মদ আফতাব শাহিন।

রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় শাহিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদির ব্যাট নিয়ে কাজ করছেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের ব্যাটে আমার হাতের ছোঁয়া রয়েছে। কারও পুরোনো ব্যাট, আবার কারও নতুন। অনেকেই পুরোনো ব্যাটের সমস্যা হলে আমার কাছে পাঠিয়ে দেন। কেউ কেউ নতুন ব্যাট কেনার পরে মুঠোফোনে বলেন শাহিন ভাই, আমার ব্যাটটা একটু দেখেন, ঠিক আছে কিনা। শুধু দেশের নয়, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা আমার তৈরি ব্যাটে বিশ্ব আসরে খেলেন। টেলিভিশনে খেলোয়াড়ের হাতে ব্যাট দেখলে আমি চিনতে পারি। আমার অনেক ভালো লাগে। যখন ওই খেলোয়াড় ভালো রান করেন, ছয় মারেন, তখন খেলোয়াড়ের চেয়ে আমিই বেশি খুশি হই।

শাহিন বলেন, আমি অনেক বিদেশি খেলোয়াড়ের ব্যাটের মডিফিকেশন করেছি। আজহার মাহমুদ, দিলশান, সাঙ্গাকারা, পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে কাজ করেছি। আমি ২০ বছর ব্যাট মডিফিকেশন ও কাস্টমাইজেশনের ওপরে কাজ করেছি। পাকিস্তান প্রতি বছর এক লাখ পিস টেনিস ব্যাট বাংলাদেশে বিক্রি করে। আমাদের টার্গেট টেনিস ব্যাট তৈরি করা। প্রতি বছর আমরা ৫০ হাজার পিস টেনিস ব্যাট তৈরি করব। কাঠ বলের ব্যাট পাঁচ হাজার পিস বিক্রি করব। বাংলাদেশে উন্নতমানের ব্যাট তৈরি হয় না। শিমুল ও কদম কাঠ দিয়ে ব্যাট তৈরি হয়। আমরা পপুলার উইলো কাঠ আমদানি করে পাকিস্তানের চেয়ে ভালো ব্যাট তৈরি করব। আমাদের দেশে যে ব্যাটগুলো আসে, সেগুলো ১০টি ব্যাটের ১০ ধরনের শেপ থাকে। কিন্তু আমাদের কোম্পানির সব ব্যাটে একই শেপ থাকবে। উৎপাদন কম করব। কিন্তু গুণগত মান নিশ্চিত করব।

খেলা পাগল শাহিন শুরুর দিকে হিমেল, তমাল ও ডেবিভ নামেরে তিন প্রশিক্ষকের কাছে প্রশিক্ষণ নেন। বড় খেলোয়াড় হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা হতে না পারায় কিছুটা আক্ষেপও ছিল তার। তবে তার তৈরি ব্যাটে ক্রিকেট বিশ্বের বাঘা বাঘা খেলোয়াড়রা খেলছে দেখেই ভালো লাগে শাহিনের। নিজের তৈরি ব্যাট বছরের পর বছর ধরে খেলোয়াড়দের হাতে থাকবে বলে খুশি শাহিন।

dhakapost

শাহিন বলেন, আমরা খুলনার মানুষ। দাদা-বাবার বাড়ি সাতক্ষীরায়। আমরা প্রথম খুলনা পলিটেকনিকে ছিলাম বাবার চাকরির সুবাদে। ১৯৯২ সালে বদলিজনিত কারণে বাবা রাজশাহী পলিটেকনিক চলে আসেন রেজিস্ট্রার হিসেবে। ছোট থেকে রাজশাহীর মাটিতে আমার বেড়ে ওঠা। পরবর্তীতে ভর্তি হই রাজশাহী টিটিসিতে। সেখানে আমার এসএসসি (ভোকেশনাল)। টিটিসিতে আমি উড (কাঠের কাজ) বিভাগে ভর্তি হই। মূলত অষ্টম শ্রেণি থেকেই কাঠ নিয়ে আমার লেখাপাড়া শুরু হয়।  সে সময় শিমুল কাঠের তৈরি একটা ব্যাট কিনে আনি। বাড়িতে নিয়ে মনে হলো ব্যাটটি আরও ভালো হওয়া উচিত। ব্যাটের পেছনে লেগে গেলাম। শেষ পর্যন্ত একটা ভালো ক্রিকেট ব্যাট তৈরি করে ছাড়লাম। এরপর ধীরে ধীরে পলিটেকনিকের সবার ব্যাট নিয়ে এসে নিজেই ঠিক করে দিতাম। পরবর্তীতে ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হই।

তিনি বলেন, আমাদের ক্যাম্পের কারও ব্যাটের সমস্যা হলে আমি ঠিক করার জন্য বাড়িতে নিয়ে যেতাম। তারাও আগ্রহ করে আমাকে ব্যাটগুলো দিতেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে একাদশ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় শিমুলের কাঠ কিনে ব্যাট তৈরি করে রাজশাহী নিউ মার্কেটের স্পোর্টস কর্নারে নিয়ে যাই। ব্যাটগুলো তারা দেখে আমাকে আরও আনতে বলেন। ব্যাটের শেপ দেখে অবাক হয়ে একেকটি ব্যাট তারা ২৫০ টাকা দরে কিনে নেন। এরপর আরও কিছু ব্যাট বিক্রি করি। ২০০৬-২০০৭ সালে ৫০০ টাকা করে ব্যাট বিক্রি করেছি।

জাতীয় পর্যায়ে ব্যাটের কারিগর শাহিন

বরেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি শেষে চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে থাকেন শাহিন। সেই অবস্থায় কাজ শেষে রাতে বাসায় ফিরেই ফরহাদ রেজাদের ব্যাট ঠিক করতেন বলে জানান তিনি। এরপর থেকে তার কাছে নিয়মিত ব্যাট পাঠাতে থাকেন রাজশাহীর মিজান ও ফরহাদ রেজা।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে প্রথম বিপিএল খেলা হয়। ফরহাদ ভাইয়ের ব্যাটের কাজ দেখে শাহরিয়ার নাফিস ব্যাট পাঠালেন। তার ব্যাটের হ্যান্ডেল পান্স করতে হবে, করে দিলাম। তার পরের দিনই তিনি ১০০ রান করেন। শাহরিয়ারের ১০০ রান করা দেখে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড় ফিমেন্ট ব্রেটের পছন্দ হয় ব্যাটটি। এরপর শাহরিয়ার নাফিসের মাধ্যমে তার দুইটা ব্যাটের কাজ করে দিয়েছি। পরের দিনের খেলায় ব্রেট ৭৫ রান করেন। ওই টিম সেদিন জিতিয়েছেন তিনি, এতে খুশিও হন তিনি। তারপর থেকে সিলেক্টেড কিছু মানুষের ব্যাটের কাজ করতাম। একদিন মোমিনুল হক আমাকে কল দিয়ে শাহরিয়ার ভাইয়ের ব্যাটের কাজ করে দিতে বলেন, করে দিয়েছি। তারপর ইমরুল কায়েসের ব্যাটের কাজ করেছি। আমি যখনই যার ব্যাটে কাজ করতাম মনে করতাম- এই ব্যাটটা আমার, আগামীকাল সকালে আমিই এই ব্যাটটা দিয়ে খেলব।

কাজ শেখার বিষয়ে শাহিন বলেন, ব্যাটের হ্যান্ডেল পান্স করা শিখেছি রাজশাহী ডিভিশনের সাবেক ক্যাপ্টেন আনিসুর রহমানের কাছ থেকে। এখন উনি রাজশাহীর একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কোচ। একদিন তিনি আমাকে স্টেডিয়ামে ডাকেন। আমি বললাম- ভাই ব্যাটের হ্যান্ডেল পান্স করে কীভাবে। তিনি আমাকে শিখিয়ে দিলেন। তারপর আমি বাড়িতে ফিরে চেষ্টা করলাম। দেখলাম ঢাকার চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। তারপর থেকে এই কাজে আমিই সেরা। ব্যাটের খুঁটিনাটি নিয়ে আমি ২২ বছর ধরে সাধনা করে আসছি। আমার জীবনের সিংহভাগ সময় ব্যাট ও ব্যাটের হ্যান্ডেল নিয়ে গবেষণায় চলে গছে। জাতীয় দলের মিরাজ ভাই আমাকে কোম্পানি করার কথা বলেছিলেন। তারপরে অনেক ভেবে এগুচ্ছি। আমাদের ব্র্যান্ডের নাম ‘এমকেএস স্পোর্স্টস’। আমাকে মিরাজ ভাই বলেছে ফ্যাক্টরি দেখতে। ব্র্যান্ডিং তারা দেখবেন। মিরাজ ভাইয়ের কথা হলো, আমরা মানসম্পন্ন ব্যাট তৈরি করতে পারলে কেন বাইরে থেকে ব্যাট কিনব। আমাদের দেশের জাতীয় দল, নারী দল, বিকেএসপি আছে। আমরা তাদের ব্যাট দিয়ে স্পন্সর করব।

dhakapost

শাহিনের কাজে মুগ্ধ দেশি-বিদেশি ক্রিকেটাররা

চাকরি সূত্রে খুলনায় থাকতেন শাহিন। তখন বাংলাদেশ দল সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছে। সেই সিরিজে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের হ্যান্ডেল ভেঙে যায়। সেখান থেকে মোমিনুল হক বিষয়টি জানান শাহিনকে। তারপর বাংলাদেশে ফিরে মুশফিকুর রহিম সেই ব্যাট পাঠান শাহিনের কাছে। খুলনায় সিঙ্গাপুরী বেত জোগাড় করে এক রাতের মধ্যে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট ঠিক করে পাঠিয়েও দেন তিনি। ব্যাট হাতে পেয়ে অবাক হয়ে যান মুশফিকুর রহিমও।

এ বিষয়ে শাহিন বলেন, উনি বুঝতেই পারেননি ব্যাটের হ্যান্ডেল পরিবর্তন হয়েছে। তখন থেকে মুশফিকের সঙ্গে আমার যোগাযোগ শুরু হয়। তারপর প্রমোশন হয়ে ঢাকায় চলে আসি। এরপর লিটনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ শুরু হয়।

তিনি বলেন, জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় আমার হাতের এ গ্রেডের ব্যাটে বিশ্ব আসরে খেলছেন। তবে আমরা আমাদানি করলে এই ধরনের ব্যাট বিদেশিরা আমাদের দেয় না। তাদের দেশের খেলোয়াড়দের দেয়। পাকিস্তানের অনেক কোম্পানি ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ব্যাটের ব্যালেন্স ও শেপ সম্পর্কে জানার জন্য। সেই কাজগুলোর জন্য এখন আমার কাছে আসে দেশের বাইরের খেলোয়াড়রা। বিপিএলে ইমরুল আমার বানানো ব্যাটে খেলেছে। তার টিমে খেলতে এসে আন্দ্রে রাসেলও পছন্দ করেছে আমার বানানো ব্যাট। তিনি ব্যাট চেয়েছিলেনও, তবে সে সময় আমার কাছে ইউলো ছিল না বলে তাকে ব্যাট বানিয়ে দিতে পারিনি। তারপর মোহাম্মদ নবীও আমার কাছে ব্যাটের অর্ডার দিয়েছিলেন।

শাহিন আরও জানান, ২০০৫ সালের দিকে রাজশাহীতে প্রিমিয়ার লিগের খেলা চলছিল। সেই খেলায় অংশ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের আজহার মাহমুদ। তার ব্যাটে সমস্যা হওয়ায় খালেদ মাসুদ পাইলট তাকে (শাহিন) ফোন দিয়ে স্টেডিয়ামে যেতে বলেন। সেখানেই প্রথম আজহার মাহমুদের সঙ্গে তার দেখা হয়। এরপর আজহার মাহমুদের ব্যাট ঠিক করে দেন। পরে তার ঠিক করা ব্যাট দেখে খুশি হয়ে ১০০ ডলার উপহার দিতে চেয়েছিলেন আজহার মাহমুদ। তবে তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলেও জানান শাহিন। শুধু আজহার মাহমুদই নন, তার কাছে ব্যাট ঠিক করে নিয়েছেন সেকেন্দার রাজাও।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, আমাদের দেশের ভালো মানের ব্যাটগুলো আমদানি নির্ভর। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ব্যাট আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। এটা অনেক ভালো উদ্যোগ। আমি ব্যক্তিগতভাবে শাহিনকে চিনি। সে অনেক সুন্দর ব্যাট তৈরি করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মিরাজ, ইমরুল ও শাহিনকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, একটি কারখানা তৈরি করত অনেক প্রতিকূলতা আসবে। সেজন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। এই কারখানাটি চালু হলে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। আমাদের দেশে একটি ক্রিকেট ব্যাট তিন থেকে চার হাত ঘুরে খেলোয়াড়ের হাতে পৌঁছায়। তাতে দাম বেশি পড়ে যায়। দেশেই বিশ্বমানের ব্যাট তৈরি হলে আমদানি করতে হবে না। উল্টো আমরাই রপ্তানি করব।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের রাজশাহী জেলার কাউন্সিলর তৌহিদ আল মাসুদ রনি বলেন, এটা অনেক বড় এবং ভালো উদ্যোগ। আমি মনে করি আমাদের দেশের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। এখানে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। শাহিনকে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মেহেদী হাসান মিরাজ এবং ইমরুল কায়েস কারখানা তৈরি করছেন। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। এ কারখানায় বিশ্বমানের ক্রিকেট ব্যাট তৈরি হলে দেশের বাইরে থেকে ব্যাট কিনতে হবে না। এছাড়া ব্যাট আমরা বাইরের দেশে রপ্তানিও করতে পারব।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, এটা রাজশাহীসহ দেশবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। রাজশাহীতে এত বড় একটা শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে বলে সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানাই। এছাড়া রাজশাহী জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।- সূত্র: ঢাকা পোস্ট