মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা (বিজিবি) সতর্ক অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শনিবার যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের বাংলাদেশবিষয়ক সর্বদলীয় গ্রুপের একটি প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে।
ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি বীরেন্দ্র শর্মা চার সদস্যের পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতিনিধিদলে অন্য ব্রিটিশ এমপিরা হলেন—কনজারভেটিভ পার্টির পল স্কালি এবং লেবার পার্টির নিল কোয়েল ও অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন।
ব্রিটিশ এমপিদের সঙ্গে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র স্থায়ী সমাধান। তাঁরাও একমত পোষণ করেছেন।
এ বিষয়ে সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে যদি মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হবে।
বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ভারাক্রান্ত—এমনটি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ৩৫ হাজার করে রোহিঙ্গা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। মানবিক কারণে আগে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন মিয়ানমারের পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে এই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে সহযোগিতা করার জন্য দেশটির এমপিদের বৈঠকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আইসিজের রায়কে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধে যে রায় দিয়েছে, সেটাকে বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।
মন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে—সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে এ রায় সহায়ক হবে।
আজকের পত্রিকা