সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠিন দুটি ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করেছে বাংলাদেশ। নারী ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লড়াই করা বাংলাদেশ আজ নেমেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে যেমনটা দেখা গেছে, আজও সেটাই হয়েছে। বোলাররা দারুণ পারফরম্যান্স করে আশা জাগিয়েছেন। আর ব্যাটাররা হতাশ করেছেন।
ইংল্যান্ডকে আজ জিততেই হতো। কারণ, আজ না জিতলে দিনের অন্য ম্যাচে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিলে সেমিফাইনালে আর যাওয়া হতো না তাদের। কিন্তু বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের কাজটা কঠিন করে তুলেছিলেন জাহানারা-সালমারা। মাত্র ২৬ রানে ২ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। আক্রমণ নয়, ইনিংস গোছাতেই তাই ব্যস্ত ছিল ইংল্যান্ড। ইনিংসের মাঝপথেও ১০০ পেরোতে পারেনি ইংল্যান্ড। ২৬ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। স্কোরবোর্ডে তখন ৯৬ রান। উইকেটে তখন নতুন দুজন ব্যাটার।
কিন্তু ইংলিশদের জাত্যভিমান জেগে উঠল এরপরই। অ্যামি জোনসকে (৩১) নিয়ে সোফিয়া ডাঙ্কলি ৭২ রানের জুটি গড়লেন। সালমার বলে স্টাম্পড হওয়ার আগে ৭২ বলে ৬৭ রান করেছেন ডাঙ্কলি। ততক্ষণে ইংল্যান্ডের স্কোর ২০০ পেরিয়ে গেছে। ক্যাথরিন ব্রান্টের কোনো চার-ছয় ছাড়া ২২ বলে ২৪ রানের ইনিংস ইংল্যান্ডকে ২৩৪ রান এনে দিয়েছে। বিশ্বকাপের একমাত্র দল হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে কোনো ম্যাচে ২৫০ রান করতে দেয়নি। ৪৬ রানে ২ উইকেট পাওয়া সালমা বাংলাদেশের সফলতম বোলার।
এই কীর্তি অবশ্য একটু পরই ম্লান হয়ে যায়। আগের সব ম্যাচের মতোই প্রথম উইকেট জুটি অনেকক্ষণ টিকে ছিল। প্রায় ১৮ ওভার টিকে থাকা জুটি থেকে অবশ্য মাত্র ৪২ রান পেয়েছে বাংলাদেশ। ৫০ বলে ২৩ রান করে শারমিন আখতার ফিরেছেন। ৯ বল পরই তাঁর সঙ্গী শামিমা সুলতানা ফেরেন। সঙ্গীর মতোই ২৩ রান শামিমার, তবে তাঁর ইনিংসটি ৬৪ বলের।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০ তাড়া করে ম্যাচ জেতার আশা করাটা বাড়াবাড়ি। কিন্তু ওপেনারদের ধীরগতির শুরুটা হারটা একদম নিশ্চিত করেছে। অধিনায়ক নিগার সুলতানা (২২) ও লতা মণ্ডল দলকে ১০০ পার করানো নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু রানরেট কখনো তিন পেরোয়নি বাংলাদেশের।
৪৫তম ওভারে ৩০ রানে থাকা লতার ইনিংস থামে। ৮ রানে শেষ ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
প্রথম আলো