ঢাকাশনিবার , ২ এপ্রিল ২০২২
  • অন্যান্য

সাকিবের কাছে জমি ফেরত চান মালিকরা

এপ্রিল ২, ২০২২ ১২:০২ অপরাহ্ণ । ১৯৪ জন

চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরও দুই বছর পেরিয়ে গেলেও চুক্তিপত্রের টাকা ও জমি কোনোটিই ফেরত পাচ্ছেন না সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কৃষকেরা। সেখানে প্রায় ৫০ বিঘা জমির ওপর জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান গড়েছিলেন কাঁকড়া খামার। নাম দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম। অবশেষে ১৬ জন জমির মালিক টাকা ও জমি ফেরত পেতে দাঁড়ালেন মানববন্ধনে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় দাতিনাখালী এলাকায় সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্মের সামনে এ মানববন্ধন করেন জমির মালিকেরা।

মানববন্ধনে জমির মালিকেরা বলেন, ২০১৬ সালে ১২ হাজার টাকা বার্ষিক চুক্তিপত্র করে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল ও ব্যবসায়ী এমদাদ হোসেন মিলে তাদের কাছ থেকে জমি নিয়ে কাকড়া খামার গড়ে তোলেন। চুক্তিপত্রের মাধ্যমে সাকিব আল হাসান জমি লিজ নেন। চুক্তিপত্রের মেয়াদ ছিল ২০২০ সাল পর্যন্ত। সেই চুক্তিপত্রের মেয়াদ দুই বছর আগে শেষ হলেও পরবর্তী সময়ের জন্য জমির মালিকদের চুক্তিপত্র অনুযায়ী টাকা দেওয়া হয়নি। সেইসঙ্গে জমিও ফেরত দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি।

জমির মালিকেরা আরও বলেন, ২০২০ সালেও পূর্বের টাকা আদায়ের জন্য তাদের আন্দোলনে নামতে হয়েছিল। সে সময় ফার্মের মূল ফটকে থাকা সাকিব আল হাসানের নাম মুছে ফেলা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি জমির মালিকদের অগোচরে অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ব্যবসায়িক অংশীদার সগীর হোসেন পাভেল বলেন, ‘দুই বছর আমরা ব্যবসায় ছিলাম না। তবুও তাদের টাকা দিয়েছি। এখন ব্যবসা আবার চালু হচ্ছে। এক বছরের টাকা তারা পাবেন, সেটিও দিয়ে দেওয়া হবে। তারা দুই বছর নয়, এক বছরের টাকা পাবেন। যদি কেউ দুই বছরে টাকা দাবি করে, তবে সেটি ভিত্তিহীন।’

জমির মালিকদের পাওনা টাকার বিষয়ে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এক গণমাধ্যমকে আগে জানিয়েছিলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই জমির মালিকদের টাকা পরিশোধ করা হবে।

তবে তারপরও এখনো সেই টাকা পরিশোধ করা হয়নি। সে কারণে জমির মালিকেরা টাকা অথবা জমি ফেরত চাইছেন।- দৈনিক শিক্ষা